আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘বিএনপি অতীতের মতো পালিয়ে বেড়াক, সেটা আমরা চাই না। আমরা বিএনপির সঙ্গে খেলতে চাই। কিন্তু বিএনপি খেলা থেকে বারবার পালিয়ে যায়, এটি দুঃখজনক।’
সোমবার (৮ মে) সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রীর বিদেশ সফর ও আগামী নির্বাচন নিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগেরও সভাপতি। তিনি আওয়ামী লীগের মনোভাব যখন ব্যক্ত করেছেন তখন সরকারের মনোভাবও ব্যক্ত করেছেন। তার বক্তব্যের মধ্য দিয়ে দুটি বিষয়ই পরিষ্কার। আমরা চাই সব রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, এদেশের সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচন হবে। যেভাবে নির্বাচন যুক্তরাজ্য, ভারতবর্ষে, জাপানে, অস্ট্রেলিয়া, ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ও যুক্তরাষ্ট্রে হয়। সেভাবেই আমাদের দেশে নির্বাচন হবে। আশা করবো বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবো।
বিএনপি আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছে, আন্দোলনে অংশগ্রহণের জন্য আসনের বণ্টন চাচ্ছে বিএনপির শরিকদলগুলো, এ বিষয় আপনি কীভাবে দেখেন- এমন প্রশ্নে তথ্যমন্ত্রী বলেন, শরিকরা আসন চাইবে এটাই স্বাভাবিক। তবে বিএনপিকে আগে সিদ্ধান্ত নিতে হবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে কি করবে না। শরিকরা আসন বণ্টন নিয়ে আলোচনা করছে তার মানে হচ্ছে বিএনপি নির্বাচন না চাইলেও শরিকরা নির্বাচন চায়। বিএনপি নির্বাচন থেকে পালিয়ে গেলে শরিকরাও বিএনপি থেকে পালিয়ে যাবে। এটিরই বহিঃপ্রকাশ হচ্ছে।
সাংবাদিকরা এ সময় ড. ইউনুসের বিরুদ্ধে শ্রমিকদের পাওনা বঞ্চিত করার অভিযোগে করা মামলা চালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে উচ্চ আদালতের রায় নিয়ে প্রশ্ন করলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ড. ইউনুসের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই বলতে চাই, যেভাবেই হোক তিনি নোবেল লরিয়েট এবং একজন নোবেল লরিয়েটের বিরুদ্ধে শ্রমিকরা মামলা করেছে, অন্য কেউ নয়।
সোমবার এ রকম একজন নোবেল লরিয়েট শ্রমিকদের পাওনা বুঝিয়ে দেননি, বারবার তাগাদা দেয়ার পরও বুঝিয়ে দেননি বরং অসাধু উপায়ে সেটি সুরাহা করার অপচেষ্টা চালিয়েছিলেন-এ সমস্ত অভিযোগ গুরুতর এবং অত্যন্ত দু:খজনক। এগুলো আসলে নোবেল পুরস্কারকে কলংকৃত এবং প্রশ্নবিদ্ধ করছে।’
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন, ড. ইউনুসের আবেদন খারিজ করে আদালত বলেছে মামলা চলবে। আশা করবো, মামলা নিষ্পত্তি হওয়ার আগেই তার পক্ষ থেকে পাওনা পরিশোধ করে দিয়ে বিষয়টি ফয়সালা হবে।’