গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে মনোনয়নপত্র বাতিলের সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে জাহাঙ্গীর আলমের করা রিট সরাসরি খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। ফলে তার মনোনয়নপত্র বাতিল করে রিটার্নিং কর্মকর্তার সিন্ধান্ত বহাল থাকলো বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
জাহাঙ্গীরের করা রিটের শুনানি শেষে রোববার (০৮ মে) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মুহম্মদ মাহবুব-উল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালত আদেশে বলেছেন, যেদিন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন, সেদিন পর্যন্ত তিনি ঋণ খেলাপি ছিলেন।
আদালতে জাহাঙ্গীর আলমের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী ফিদা এম কামাল ও আইনজীবী এম কে রহমান। আর রাষ্ট্র পক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। শুনানির সময় জাহাঙ্গীর আলম আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে গত ৩০ এপ্রিল যাচাই বাছাই শেষে ঋণখেলাপির অভিযোগে জাহাঙ্গীরের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেন গাজীপুরের রিটার্নিং কর্মকর্তা। পরে ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরের করা আপিল নামঞ্জুর করেন ঢাকা বিভাগীয় নির্বাচন কমিশনার মো. সাবিরুল ইসলাম। ফলে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের আসছে নির্বাচনে মেয়র পদে জাহাঙ্গীরের মনোনয়নপত্র বাতিলে রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্ত বহাল থাকে। তবে আলোচিত এই নির্বাচনে মেয়র পদে জাহাঙ্গীর মা জায়েদা খাতুনের মনোনয়নপত্র বৈধ হওয়ায় ভোটের মাঠে এখনো রয়েছেন তিনি।
এদিকে গত ৭ মে মনোনয়নপত্র বাতিলের সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন স্বতন্ত্র প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে গাজীপুর সিটি করপোরশেন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে দলীয় প্রতীকে মেয়র নির্বাচিত হন জাহাঙ্গীর আলম। তবে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের অভিযোগে জাহাঙ্গীরকে দল থেকে বহিষ্কার করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। এরপর জাহাঙ্গীর আলমকে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদ থেকে বরখাস্ত করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। তবে ভবিষ্যতে সংগঠনের স্বার্থ পরিপন্থী ও শৃঙ্খলা ভঙ্গ না করার শর্তে গাজীপুরের সাময়িক বরখাস্ত মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকে ক্ষমা ঘোষণা করে আওয়ামী লীগ।