গরমেও থাকুন ফুরফুরে-তরতাজা, মেনে চলুন কয়েকটা নিয়ম

ঘাম আর অসহ্য তাপমাত্রার জন্য অনেকেই গরমকাল পছন্দ করেন না। এই ঋতুতে দিন অনেক লম্বা হয়, ফলে কাজের জন্য অনেকটা বেশি সময় পাওয়া যায়। এই সময় বিকেলের দিকে মিষ্টি হাওয়া দেয়। তাছাড়া সূর্যের আলোয় মনের মধ্যেও একটা পজেটিভ ভাব দেখা দেয়।

ঠান্ডার দেশের মানুষরা যেমন একটু সূর্যের আলোর জন্য কাতর হয়ে থাকেন, গরমের দেশের মানুষদের জন্য ঠিক তার উল্টোটা ঘটে। কিছু কিছু সময় তাপমাত্রা এতটাই বেড়ে যায় যে বাইরে বের হওয়া বা ঘরের মধ্যে কাজ করা অসহ্য হয়ে ওঠে। তবে কয়েকটি সাধারণ নিয়ম মানলে এই গরমেও তরতাজা ও ফুরফুরে থাকা সম্ভব। দেখে নেয়া যাক সেই টিপসগুলো কী কী-

জামাকাপড়: কতটা গরম লাগতে পারে তার অনেকটাই নির্ভর করে পোশাকের ওপর। এই সময় ডার্ক রঙের জামাকাপড় এড়িয়ে চলাই ভালো। কারণ ডার্ক রঙ সূর্যের আলো শুষে নেয় এবং তাতে গরম বেশি লাগে। পরিবর্তে নরম প্যাস্টেল শেড বেছে নেয়া যায়। খেয়াল রাখতে হবে ফ্যাব্রিকের ওপরেও। সিনথেটিক বা নাইলন নয়, সুতির কাপড় হলে সবচেয়ে ভালো।

চুল বাঁধা: আমাদের অনেকেরই এক রাশ কালো ঘন চুল আছে। কিন্তু গরমের সময় চুল খোলা থাকলে অস্বস্তি বাড়ে বই কমে না। তাই কাজ করার সময় বা বাড়ির বাইরে বের হলে আঁটসাঁট করে চুল বেঁধে নেয়া ভালো।

মনের মতো পানীয়: আমাদের দেশের গরমকাল খুব আর্দ্র হয়। অর্থাৎ এই সময় ঘামের মাধ্যমে অনেকটা পানি শরীর থেকে বের হয়ে যায় এবং ডিহাইড্রেশন হতে পারে। তাই সারাদিন নানা রকমের পানীয় যেমন পানি, ডাবের পানি, সরবত, ঘোল ইত্যাদি পান করা উচিত।

পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি: সারাদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা গরমকালের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ। সারাদিনে অন্তত ৬-৭ লিটার জল পান করতেই হবে।

এসি চালাতে হবে: এসি বা এয়ারকুলার ঘর ঠান্ডা রাখে। তাই গরম যখন মাত্রা ছাড়িয়ে যায় তখন এসির সাহায্য নিতেই হবে।

অকারণে বাইরে বেরোনো নয়: বিশেষ কোনো কাজ না থাকলে বাইরে বের হওয়ার প্রয়োজন নেই। কারণ এ সময় বেলা যত বাড়ে, সূর্যের তেজও ততটাই বাড়তে থাকে।

Leave a Comment