অধিকাংশ মানুষই গরমে বেশি পরিমাণে পানীয় এবং হালকা খাবার খেয়ে থাকেন। তবে বিশেষজ্ঞরা সব সময় পরামর্শ দেন যে, গরমের দিনে শরীরকে হাইড্রেটেড রাখা অত্যন্ত জরুরি। তাই এমন ফল আর শাক-সবজি খেতে হবে, যার মধ্যে জলের ভাগ বেশি। এমনই এক ফল হল শসা।
আসলে গরমের দিনে শসার থেকে উপাদেয় আর কী বা হতে পারে! শরীরকে স্বস্তি তো দেয়ই, সেই সঙ্গে শরীরকেও ঠান্ডা রাখে! খাবারের সঙ্গে স্যালাড হিসেবে কিংবা স্ন্যাকস হিসেবেও শসা খাওয়া যেতে পারে। বাজারে সবজির দোকানে গেলেই চোখে পড়বে ঢালাও শসা বিক্রি হচ্ছে। আর এই সময় শসার ফলন আর বিক্রি কয়েক গুণ বেড়ে যায়।
শসার মধ্যে প্রচুর পরিমাণে লবণ এবং জল থাকে। যা পেটের জন্য অত্যন্ত উপকারী। সেই সঙ্গে মাত্রাতিরিক্ত তাপের হাত থেকে শরীরকে প্রতিরোধ করতেও সাহায্য করে শসা। এই ফল বা সবজি শুধু শরীরকে হাইড্রেটেডই রাখে না, তার পাশাপাশি এটি ত্বকের জন্যও খুবই উপকারী। ত্বকে একটা কুলিং এফেক্ট আনে, আর ত্বককে হাইড্রেটও করে। তাই গ্রীষ্মকালে পাতে রাখতেই হবে শসা।
গরমের দিনে শসা খাওয়ার উপকারিতা:
# তীব্র গরমে শসা খেলে হজম শক্তি বৃদ্ধি পায়। তার সঙ্গে পেটের নানা সমস্যাও দূর করে। কোষ্ঠকাঠিন্য, অ্যাসিডিটি, বুক-জ্বালা অথবা গ্যাস্ট্রিকের মতো সমস্যার ক্ষেত্রে শসা অত্যন্ত উপযোগী।
# অন্যান্য ফল এবং শাক-সবজির তুলনায় শসায় জলের পরিমাণ অত্যন্ত বেশি। তাই এটি খেলে প্রচণ্ড গরমেও শরীর ঠান্ডা থাকে এবং শরীরের নানা বিষাক্ত পদার্থ বা টক্সিন দূর হয়।
# শুধু শসাই নয়, শসা বীজেরও যথেষ্ট উপযোগিতা রয়েছে। মস্তিষ্ককে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে শসা বীজ। এর পাশাপাশি শসার বীজ সেবনের ফলে বিরক্তি, খিটখিটে ভাব এবং নানা ধরনের মানসিক বিকার দূর হয়।
# ভিটামিন-এ, ভিটামিন-সি, ভিটামিন-কে, পটাশিয়াম, ফাইবারের মতো অনেক পুষ্টি উপাদান শসার মধ্যে পাওয়া যায়। যা শরীরের চর্বি উপাদান বা ফ্যাট কমাতেও সাহায্য করে। আর সবথেকে বড় কথা হল, এর মধ্যে ক্যালরির পরিমাণ খুবই কম হয়।