ইবাদত-বন্দেগির মধ্য দিয়ে সারাদেশে পবিত্র লাইলাতুল কদর বা শবেকদর পালিত হচ্ছে। ২৬ রমজান অর্থাৎ মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) রাতটি ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের কাছে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। এ রাতে মানুষের ভাগ্য পুনর্নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। ফলে এ রাত পূণ্যময় ও মহিমান্বিত।
যদিও ২০ রমজানের পর যেকোনো বিজোড় রাতে শবেকদর হতে পারে। তবে ২৬ রমজান দিনগত রাতেই লাইলাতুল কদর আসে বলে বেশির ভাগ আলেমদের অভিমত। বাংলাদেশে এ রাতটিকে শবেকদরের রাত হিসেবে পালন করেন মুসলমানরা। তবে অন্যান্য বিজোড় রাতেও ইবাদত-বন্দেগি করেন মুসলমানরা।
শবেকদর উপলক্ষে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদসহ সারাদেশে মাগরিবের নামাজের পর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত কোরআন-হাদিস থেকে আলোচনা, দোয়া মাহফিল, পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত, হামদ-নাতসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। সন্ধ্যার পরে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার মসজিদেও এমন আয়োজন দেখা গেছে।
আরও পড়ুন: লাইলাতুল কদরের নামাজের নিয়ত, নিয়ম ও দোয়া
বিশেষ করে এশার ওয়াক্ত থেকে মসজিদে খতম তারাবিহ এবং এর শেষে দোয়া মাহফিলে অংশ নিতে মসজিদে এসেছেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা।
বায়তুল মোকাররমে মঙ্গলবার জোহরের নামাজের পর শবেকদরের ফজিলত ও তাৎপর্য নিয়ে আলোচনা এবং দোয়া মাহফিল হয়েছে। এরপর সারারাত ইবাদত-বন্দেগিতে মশগুল থাকবেন মুসল্লিরা। ফজরের নামাজের পর দোয়া ও মোনাজাত হবে।
আল্লাহ পবিত্র কোরআনে বলেছেন, লাইলাতুল কদরের রাতে কোরআন অবতীর্ণ হয়। এ রাতকে কেন্দ্র করে কোরআনে ‘আল কদর’ নামে একটি সুরাও আছে।
‘শবেকদর’ কথাটি ফারসি। ‘শব’ মানে রাত বা রজনী। আর ‘কদর’ মানে ‘সম্মান’, ‘মর্যাদা’, ‘গুণ’, ‘সম্ভাবনা’, ‘ভাগ্য’। শবেকদর অর্থ হলো- মর্যাদার রাত বা ভাগ্যরজনি। শবেকদরের আরবি হলো লাইলাতুল কদর তথা সম্মানিত রাত।
শবেকদর উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেছেন, বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে মহামারি, সংঘাত, যুদ্ধ-বিগ্রহ, অভাব-অনটনসহ বিভিন্ন কারণে হাজার হাজার মানুষ অসহায় অবস্থায় দিনাতিপাত করছে। সব সংকট থেকে উত্তরণের জন্য তিনি সর্বশক্তিমান আল্লাহর দরবারে প্রার্থনার আহ্বান জানান।