সন্তানকে বুকের দুধ খাওয়াচ্ছেন? বাড়তি পুষ্টি পেতে খান ৫ খাবার

মাতৃত্ব এক অভূতপূর্ব অনুভূতি। শত বেদনা সহ্য করেও মহিলারা সন্তানধারণ করেন।

তবে মনে রাখবেন, সবসময় শুধু সন্তানের খেয়াল রাখলে চলবে না। বরং মায়ের শরীরের দিকেও নজর দিতে হবে। বিশেষত সন্তানকে মাতৃদুগ্ধ পান করানো মহিলাদের তো পুষ্টির ঘাটতি হলে বড় বিপদ। এতে করে মাতৃদুগ্ধ তৈরিতে সমস্যা হতে পারে। এছাড়া তাঁদের শরীর খারাপ হওয়ার আশঙ্কা কয়েকগুণ বৃদ্ধি পায়। তাই ব্রেস্টফিড করা মায়েদের ডায়েটে রাখতে হবে কিছু পুষ্টিকর খাবার।

এক্ষেত্রে মায়ের ডায়েটে থাকা উচিত উপকারী প্রোটিন, ফ্যাট, ভিটামিন ও খনিজের ভাণ্ডার। তবেই সে সুস্থ থাকতে পারবে।

পরিমাণ মতো বাদাম খান​
ডেলিভারির পরপরই মায়ের ডায়েটে কিছুটা পরিমাণে বাদাম রাখা উচিত। বাদামে রয়েছে ম্যাগনেশিয়াম, আয়রন, প্রোটিন, ফ্যাট ইত্যাদি। এছাড়া এতে রয়েছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডস। এই ফ্যাটি অ্যাসিডস কিন্তু মায়েদের দেহে খুবই প্রয়োজন। এক্ষেত্রে দিনে কয়েকটি বাদাম খেলেই লাভ পাবেন। পেস্তা, কাজু বাদাম, ওয়ালনাট ইত্যাদি খেলে উপকার মিলবে।

সবুজ শাক-সবজি
সবুজ শাক-সবজি সবসময়ই উপকারী। তাই ব্রেস্টফিড করার সময় এই ধরনের খাবার খাওয়ার পরিমাণ বাড়াতে হবে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, এতে থাকা ফাইটোইস্ট্রোজেনস কিন্তু মাতৃদুগ্ধ উৎপাদনে সাহায্য করে। এমনকি মায়ের দুধের উৎপাদন বাড়ায়। তাই দিনে অন্তত একবার ব্রকোলি বা পালংশাক জাতীয় সবুজ শাক-সবজির তরকারি খান।

শস্য জাতীয় খাবার
যেই খাবারে শস্যের সমস্তভাগ উপস্থিত সেই ধরণের খাবার মায়েদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এই ধরনের খাবারের উৎকৃষ্ট উদাহরণ হল ওটস, বার্লি ইত্যাদি। এক গবেষণায় বলা হয়, এই ধরনের খাবার খাওয়ার মাধ্যমে মহিলাদের দেহে হরমোনের ভারসাম্য ফেরে। ফলে ব্রেস্ট মিল্ক উৎপাদনে সুবিধা হয়। এছাড়া এই খাবার খেলে কিন্তু মায়ের শরীরে ব্লাড সুগার, প্রেশার ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে থাকে। এমনকি কোষ্ঠকাঠিন্যের কষ্টও কমে।

দুগ্ধজাত খাবার
ব্রেস্টফিড করা মহিলাদের ডায়েটে দুগ্ধজাত খাবার থাকতেই হবে। এই ধরনের খাবারে রয়েছে প্রয়োজনীয় ভিটামিন, খনিজ, ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। তাই মায়ের শরীর থাকে সুস্থ। গবেষণায় জানা যায়, এতে থাকা ভিটামিন ডি এবং ক্যালশিয়াম মায়ের পাশাপাশি শিশুর স্বাস্থ্যের উন্নতি করে। তাই নিয়মিত দুধ, দই ও ছানা খান। দেখবেন ছোটখাট রোগ-ব্যাধি হেলায় দূর হয়ে যাচ্ছে।

অ্যাভোকাডো
এই বিদেশি ফল এখন অনেকেই খান। প্রসঙ্গত, সদ্য মা হওয়া মহিলাদের জন্য এই ফল খাওয়া আরও বেশি উপকারী। এতে রয়েছে ভিটামিন বি, ভিটামিন কে এবং ভিটামিন সি। এই ভিটামিনগুলি মায়ের দেহের পুষ্টির ঘাটতি মেটায়। এমনকি তাঁকে সুস্থ থাকতে সাহায্য করে। এছাড়া গবেষণায় দেখা গিয়েছে, অ্যাভোকাডোতে উপস্থিত ফ্যাট শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশেও সাহায্য করে।

Leave a Comment