বর্তমান সময়ের বেশিরভাগ রোগ ও শারীরিক সমস্যা বদ অভ্যাস, খাওয়াদাওয়ার অনিয়ম ও লাইফস্টাইল থেকেই হয়। অ্যাপেন্ডিসাইটিস তার অন্যতম উদাহরণ।
অ্যাপেন্ডিক্স হলো একটা টিউবের মতো বস্তু, যা আমাদের খাদ্যনালির বৃহদন্ত্র যেখানে শুরু, সেখান থেকে পেটের ভেতর দিকে ঝুলে থাকে। অ্যাপেন্ডিক্সের নিঃসরণ যে ছিদ্র দিয়ে খাদ্যনালিতে প্রবেশ করে, কোনো কারণে সেটি বন্ধ হয়ে গেলে এই সংক্রমণ হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। জায়গাটা ফুলে ওঠে, ব্যথা হয়। চিকিৎসার পরিভাষায়, এটাই অ্যাপেন্ডিসাইটিস।
বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই অ্যাপেন্ডিসাইটিসের রোগীদের পেটে প্রচণ্ড ব্যথা হয়। অনেকের আবার হালকা জ্বর ও বমি বমি ভাব থাকে।
অ্যাপেন্ডিসাইটিস হলে চিকিৎসা খুবই জরুরি। তবে চিকিৎসার পাশাপাশি খাওয়াদাওয়াতেও খেয়াল রাখা উচিত। অ্যাপেন্ডিসাইটিস হলে কোন খাবারগুলি খাবেন আর কোনগুলি নয় তা জেনে নিন
অ্যাপেন্ডিসাইটিস হলে কি খাবেন
১. অ্যাপেন্ডিসাইটিসের ব্যথা কমাতে মেথি দারুণ উপকারী হতে পারে। ২ চামচ মেথি এক লিটার পানিতে ফুটিয়ে নিন। ঠান্ডা হয়ে গেলে সারা দিনে ২ বার এই পানিটি খেতে পারেন, উপকার পাবেন।
২. অ্যাপেন্ডিসাইটিসের উপসর্গগুলোর তীব্রতা দূর করে লাচ্ছি। তাই নিয়মিত ডায়েটে রাখলেও উপকার পেতে পারেন। খুব ভাল হয় যদি বাড়িতেই লাচ্ছি বানিয়ে নিতে পারেন।
৩. যে কোনও ধরনের সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে আদা বেশ কার্যকরী। অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদানে সমৃদ্ধ আদা রোজ খেতে পারেন। অ্যাপেন্ডিসাইটিসের ক্ষেত্রে অবশ্য আদা খাওয়ার কিছু নিয়ম রয়েছে। আদার সঙ্গে খেতে পারেন হলুদ এবং মধু। এতে সত্যিই উপকার পাবেন।
অ্যাপেন্ডিসাইটিস হলে কি খাবেন না
১. ডোবা তেলে ভাজা কোনও খাবার ভুলেও এই রোগে খাওয়া উচিত নয়। এই ধরনের খাবার অ্যাপেন্ডিসাইটিসের ব্যথা আরও দ্বিগুণ করে তুলতে পারে।
২. অ্যাপেন্ডিসাইটিসের রোগীদের জন্য মদ্যপান বন্ধ করা অত্যন্ত জরুরি। পেটে অ্যাপেনডিক্স নিয়েও যদি মদ্যপান করতে থাকেন, তা হলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে থাকে।
৩. অ্যাপেন্ডিসাইটিসের সমস্যায় চিনি থেকে দূরে থাকাই শ্রেয়। এমনিতে ফল এবং আরও বেশ কিছু খাবারে চিনি থাকেই। ফলে আলাদা করে চিনি খেলে সত্যিই সমস্যা হতে পারে।