শিরোনাম দেখে সমাজের প্রচলিত ধ্যানধারণায় বিশ্বাসী মানুষ ভ্রু কুঁচকাবেন। প্রশ্ন তুলবেন, বুদ্ধি প্রতিবন্ধীদের আবার কীসের মানসিক রোগ? বিশেষজ্ঞরা বলেন, এসব শিশু বুদ্ধিবৃত্তিক সমস্যা ছাড়াও নানাবিধ সমস্যায় ভুগতে পারে। তাদের মধ্যে ভয়, জড়তা ও শঙ্কা কাজ করে। এছাড়া, তাদের বোধবুদ্ধিও স্বাভাবিক মানুষের তুলনায় শিথিল থাকে।
বুদ্ধি প্রতিবন্ধী শিশুরা যেসব মানসিক রোগে ভুগতে পারে সেসব সম্পর্কে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। চলুন জেনে নেয়া যাক-
বিষণ্ণতা
সাইকোসিস
বাইপলার মুড ডিসঅর্ডার
শুচিবাই (ওসিডি)
এডিএইচডি
অটিজম
ডিমেনসিয়া
ডিলিরিয়াম
স্টোরিও টাইপ বিহেবিয়ার ডিজঅর্ডার অর্থাৎ অদ্ভুতভাবে হাত-পা নাচানো।
প্রকারভেদ
মৃদু মানসিক প্রতিবন্ধী- আইকিউ ৫০-৬৯
মধ্যম মানসিক প্রতিবন্ধী- আইকিউ ৩৫-৪৯
মারাত্মক মানসিক প্রতিবন্ধী- আইকিউ ২০-৫০
অতীব মারাত্মক মানসিক প্রতিবন্ধী- আইকিউ স্তর ২০-এর নিচে
মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, শতকরা ৮০ ভাগ শিশু মৃদু মানসিক প্রতিবন্ধির সমস্যায় ভোগে।
চিকিৎসা
ট্রেনিং বা প্রশিক্ষণ জীবনের গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো যেমন- দাঁতব্রাশ করা, কাপড়-চোপড় পড়া, গোসল করা, টয়লেট করা শিখাতে হবে। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বাজার করা, টাকা গোনা, হিসাব-নিকাশ করা শিখাতে হবে। লেখাপড়ায় বেশি এগুতে না পারলেও সহজ কোনো কাজ শিখাতে হবে। যেটাকে সে একা বা কারও সুপারভিশনে পেশা হিসেবে নিতে হবে।
শিশুকে শারীরিক নির্যাতন করবেন না। এটা কোনো সমাধান নয়। স্রষ্টা আপনার উপরে অনেক বড় দায়িত্ব দিয়েছেন। পরিচালনকারী মা-বাবারও কাউন্সিলিং লাগে। আপনার ধৈর্য অবশ্যই বাড়াতে হবে। দীর্ঘমেয়াদি চেষ্টা সফলতা বয়ে আনতে পারে। ওষুধ দিয়ে শিশুর বুদ্ধি বৃদ্ধি এখনও সন্তোষজনক নয়।
মস্তিষ্ককে বেশি বেশি ব্যবহার করা যেতে পারে। যতবেশি ব্যবহার করবেন ব্রেইন অ্যাক্টিভিটিজ তত বাড়বে। প্রতিবন্ধী শিশুর মানসিক রোগের চিকিৎসা করাতে হবে সাইকিয়াট্রির কাছে। এতে অবস্থার কিছুটা হলেও উন্নতি হবে।