মায়ের বুকের দুধেই শিশুদের ছুঁতে পারে না রোগ, সদ্যোজাতদের স্তন্যপান কেন জরুরি…

নবজাতকের জন্য মায়ের দুধই সবচেয়ে ভালো। তাই জন্মের পরপরই মায়ের ঘন হলুদ দুধ খাওয়ানো হয়, যাতে শিশুর স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়। কিন্তু গত কয়েক দশক ধরে প্যাকেট দুধ খাওয়ানোর প্রবণতা বেড়েছে। জেনে রাখা উচিত, বুকের দুধ শিশুকে স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি রোগ থেকে রক্ষা করতে পারে। তবে অনেক মহিলাই সন্তানতকে স্তন্যপান করাতে গিয়ে বেষ কিছু অসুবিধার সম্মুখীন হন। এ বিষয়ে চিকিৎসকদের পরামর্শ নেওয়া যেতে পারে, তবে চেষ্টা করা উচিৎ যে শিশু যেন মায়ের দুধ পায়। স্তন্যপানের অনেক উপকারিতা রয়েছে-

১. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে- ছোট শিশুদের ভাইরাল সংক্রমণের ঝুঁকি সবথেকে বেশি থাকে, যা জ্বর এবং অন্যান্য রোগ সৃষ্টি করতে বাধ্য। যেসব নবজাতক জন্মের পর থেকেই মায়ের দুধ পান করে, তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অন্যান্য শিশুদের চেয়ে ভালো। স্তন্যপানের মাধ্যমে যে ধরনের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অর্জন করা হয়, তা প্যাকেট দুধ থেকে পাওয়া যায় না।

২. রোগ দ্রুত সেরে উঠতে সাহায্য করে- মায়ের দুধে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, এনজাইম ও অ্যান্টিবডি পাওয়া যায়, যা শিশুদের শুধু রোগ থেকে রক্ষাই করে না, কোনও ধরনের রোগে আক্রান্ত হলে সহজেই তা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। যায়।

৩. পাকস্থলীর রোগ প্রতিরোধ- ছোট শিশুরা অনেক সময় পেটের অসুখের শিকার হয়। তাদের ডায়রিয়া, কোষ্ঠকাঠিন্য, বমি ও গ্যাসের সমস্যা শুরু হয়। আপনি যদি চান বাচ্চার এমন সমস্যা না হয়, তাহলে অবশ্যই তাদের মায়ের দুধ খাওয়াবেন।

4. শিশুমৃত্যুর হার কমবে- ভারতে অনেক শিশু ১ বছর পর্যন্ত বাঁচে না। অনেক গবেষণায় এটা প্রমাণিত হয়েছে যে, যে শিশুরা মায়ের দুধ পান করলে তাদের মৃত্যুর হার বেশি হয় কারণ তাদের রোগে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা কম থাকে।

Leave a Comment