অনেকেই গান শুনতে কিংবা বিভিন্ন কাজের জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা হেডফোন ব্যবহার করে। কানের মধ্যে গান বাজে আর তার মধ্যে দিয়েই নিজের দৈনিক কাজকর্ম চালিয়ে যেতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। স্মার্টফোন জনপ্রিয় হওয়ার পর এই প্রবণতা আরও বেড়েছে। দীর্ঘক্ষণ কানে হেডফোন দিয়ে রাখলে কানের অনেক ক্ষতি হয়। দীর্ঘক্ষণ কানে হেডফোন যেসব সময় ক্ষতি হয় তা নিয়েই আমাদের আজকের আয়োজন। # যদি কানে হেডফোন গুঁজে রাখেন, তবে তার শ্রবণক্ষমতা ধীরে ধীরে কমতে থাকে।
# টানা এক ঘণ্টার বেশি কেউ দীর্ঘ সময় হেডফোন পড়ে থাকলে কানের গহ্বরের ভেতরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়ে কানের ভেতরে ঘাম জমতে থাকে। এর থেকে ব্লাকহেড বা অ্যাকনে জন্মায়।
# অন্যের সঙ্গে হেডফোন শেয়ার করাটাও খুব একটা সুবিধার কাজ নয়। এর ফলে সবচেয়ে দ্রুত এবং সবচেয়ে সহজে ব্যাকটেরিয়াজনিত ইনফেকশন একজনের থেকে অন্যজনের দিকে ছড়াতে পারে।
# শুধু শ্রবণশক্তি হারানোটাই কিন্তু একমাত্র শঙ্কা নয়, নয়েজ ক্যানসেলিং ইয়ারফোন বা হেডফোন লাগিয়ে রাস্তায় চলাফেরা করার অভ্যেসটাও মারাত্মক। গাড়ি-ঘোড়ার আওয়াজ শুনতে না পেয়ে সাংঘাতিক দুর্ঘটনাও ঘটছে প্রায় প্রতিদিনই।
# ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন একটি গবেষণা করে দেখেছে, ব্লুটুথ হেডফোন ব্যবহার করলে শরীরে রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি রেডিয়েশনের প্রভাব পড়ে; যা খুবই ক্ষতিকারক।
# দীর্ঘক্ষণ হেডফোন ব্যবহার করা থেকে ভার্টিগোর মতো সমস্যাও দেখা যেতে পারে। প্রায়ই বেশিক্ষণ হেডফোন ব্যবহার করলে বমি বমি ভাব, মাথা ঘোরা বা ঝিমঝিম ভাব অনুভূত হয়।
# হেডফোনের শব্দ কানের পর্দায় খুব খারাপ প্রভাব ফেলে। এই শব্দ কান থেকে মস্তিষ্কে যায় এবং আমাদের স্নায়ুতন্ত্রকে প্রভাবিত করে, যার ফলে মনোযোগের অভাব হয়।