নীলফামারীর ডিমলায় বালুবাহী ট্রলির ধাক্কায় শাহিন ইসলাম নামে নবম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (৯ মে) উপজেলার ভাটিয়া পাড়া নামক এলাকায় এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। শাহিন উপজেলার সদর ইউপির উত্তর তিতপাড়া মিয়াপাড়া গ্রামের আজিদুল ইসলামের ছেলে। সে জেলা পরিষদ স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
জানা গেছে, দেবীগঞ্জ উপজেলার এ টলিটি গত একমাস ধরে উপজেলার বুড়িতিস্তা নদীখননের বালু অবৈধ ভাবে পাচার করে আসছিল। ট্রলি চালকের নাম মেহেরাজ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সকাল ১০টার দিকে স্কুলের উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বাইসাইকেলে চড়ে বের হয় শাহিন। বাড়ির পাশে নির্মাণাধীন পাকা সড়কে বুড়িতিস্তা নদী থেকে ছেড়ে আসা একটি বালুবাহী টলির সঙ্গে বাইসাইকেলের সংঘর্ষ হয়। এ সময় স্থানীয়রা গুরুতর আহত শাহিনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে চালক ও ট্রলিকে আটক করে পুলিশকে খবর দেয় এলাকাবাসী।
নিহতের বড় ভাই আব্দুল খালেক বলেন, রাস্তার কাজে বালু পরিবহন করা ওই ট্রলির চালক কানে হেডফোন দিয়ে এক হাতে মোবাইল ফোন অন্য হাতে স্টিয়ারিং ধরে গাড়ি চালাচ্ছিলেন। শাহিনসহ আমি ও আমার বাবা সড়কের সঠিক পাশ দিয়ে বাই সাইকেলে যাচ্ছিলাম। কিন্তু ট্রলির গাড়িরচালক অসতর্কভাবে দ্রুত গতিতে এসে শাহিনকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তার।
ডিমলা থানার ওসি লাইছুর রহমান বলেন, ‘স্কুল চলাকালে সকাল ৮ থেকে ৫ পর্যন্ত অবৈধভাবে বালু, ইট, বহনকারী গাড়ি চলাচল বন্ধ রাখার জন্য বারবার বলা হয়। তারপরও কিছু গাড়ি চুরি করে পার হয়ে যায়। চালকের কানে হেড ফোন থাকায় এমন দুর্ঘটনা ঘটছে বলে মনে হয়। তবে চালককে আটক করে ট্রলিটি জব্দ করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।