এবার মামীর প্রেমে মজেছেন যুবক। প্রেমের টানে ঘর বাঁধার স্বপ্নও দেখছেন তারা। ঘটনা প্রকশ্যে আসতেই চমকে উঠেছে এলাকার মানুষ। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের বিহারের জামুই জেলার লাখাপুর গ্রামে একটি অদ্ভুত ঘটনা সামনে এসেছে। জানা গেছে, ঐ মহিলার দুই সন্তানও রয়েছে। স্বামী সন্তান সহ সুখী গৃহকোণ থাকা সত্বেও কেন এমন পদক্ষেপ নিলেন তিনি?
ভারতীয় মিডিয়া তথ্য অনুযায়ী, লাখাপুরের বাসিন্দা ইন্দ্রদেব পাসোয়ানের স্ত্রী রুবির (৪০) সঙ্গে তার ২০ বছর বয়সী ভাগ্নে পঙ্কজ পাসোয়ানের সঙ্গে গত ৩ বছর ধরে অবৈধ সম্পর্ক ছিল। এতদিন পর্যন্ত তারা গোপনেই দেখা করতেন। কিন্তু শনিবার রাতে প্রেমিক পঙ্কজসহ স্বামীর হাতে ধরা পড়ে দুই সন্তানের জননী। শনিবার রাতের আঁধারে ধরা পড়ার পর পুরো বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসা মাত্রই গ্রামবাসীরা পঞ্চায়েত ডাকেন।
পঞ্চায়েতে অনুষ্ঠিত বৈঠকের পরে, পঙ্কজ এবং রুবি একে অপরের সাথে থাকার ইচ্ছা প্রকাশ করে। এমন পরিস্থিতিতে ইন্দ্রদেব পাসওয়ান নিজে পঞ্চায়েতের লোকজনের মধ্যে দাঁড়িয়ে তার স্ত্রী রুবিকে তার ভাগ্নে পঙ্কজ পাসোয়ানের সঙ্গে লাখাপুর গ্রামের কালী মন্দিরে হিন্দু রীতি অনুযায়ী বিয়ে দেন।
নিজের দুই সন্তানের মা-কে অন্য একজনের হাতে তুলে দেওয়ার এই ঘটনায় রীতিমত শোরগোল পড়ে গেছে এলাকায়। তাদের বিয়ের ডিডিও-ও ব্যাপক ভাইরাল হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। স্থানীয় লোকজন এই বিয়ের খবর স্থানীয় থানায় জানায়। স্থানীয় থানায় তারা আবেদন করে, এই বিয়ের খবরে এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
কোনও প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না হয়, সে জন্য এই নবদম্পতিকে যেন অতি দ্রুত তাদের গ্রাম থেকে দূরে কোথাও সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। জানা যাচ্ছে, তারা দুই জনেই গোপনে কখনো জামুই, কখনো লক্ষীসরাই আবার কখনো অন্য জেলায় দেখা করতেন। স্বামী ইন্দ্রদেব পাসোয়ানের সন্দেহ অনেকদিন ধরেই ছিল। অবশেষে গত শনিবার ঘনিষ্ঠ অবস্থায় তাদের হাতেনাতে ধরেন ইন্দ্রদেব পাসোয়ান।