মুসলিম সম্প্রদায়ের অবদানের প্রতি সম্মাননা জানিয়ে মুসলিম ঐতিহ্য উদযাপন মাসের ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাজ্যের নিউ জার্সি শহর কর্তৃপক্ষ। গত শনিবার ঈদুল ফিতর উদযাপন অনুষ্ঠানে জানুয়ারি মাসকে ঐতিহ্য উদযাপনের মাস হিসেবে ঘোষণা দেন নিউ জার্সির গভর্নর ফিল মারফি। এখন থেকে প্রতিবছর জানুয়ারি মাসে ‘মুসলিম ঐতিহ্যের মাস’ উদযাপন করা হবে।
এক টুইট বার্তায় ফিল মারফি লেখেন, পবিত্র রমজান মাসের পর আরেকটি উৎসবে আমরা উপস্থিত হয়েছি। জানুয়ারি মাসকে ইসলামী ঐতিহ্যের মাস হিসেবে ঘোষণা দিতে পেরে আমরা আজ আনন্দিত। নিউ জার্সি রাজ্যে আমেরিকান মুসলিমদের সমৃদ্ধ ইতিহাস ও সাংস্কৃতিক অতীত রয়েছে।’
মারফি বলেন, ‘প্রতিবছরের জানুয়ারি মাসকে ‘মুসলিম হেরিটেজ মাস’ হিসেবে মনোনীত করতে পেরে আমি গর্বিত। এর মাধ্যমে আমেরিকান মুসলিমদের সমৃদ্ধ ইতিহাস, সংস্কৃতি ও যৌথ নীতির ওপর আলোকপাত করা যাবে। নিউ জার্সির বৈচিত্র্যপূর্ণ পরিবেশের জন্য আমরা খুবই গর্বিত। এই রাজ্যের অগ্রগতিতে মুসলিমদের ইতিবাচক প্রভাবকে আমরা স্বীকৃতি দিয়েছি এবং আগামীতে এর উদযাপন অব্যাহত রাখব।’
মুসলিম ঐতিহ্যের মাস ঘোষণাকে ‘ঐতিহাসিক’ পদক্ষেপ বলে মনে করছেন যুক্তরাষ্ট্রের মুসলিমরা। আমেরিকানস মুসলিমস ফর ডেমোক্রেসির কর্মকর্তা জয়নব সাইয়েদ বলেছেন, ‘নিউ জার্সিতে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বেশিসংখ্যক মুসলিমের বসবাস। ইতিবাচকভাবে সম্মান জানাতে মুসলিম ঐতিহ্যের মাস ঘোষণা করায় আমরা খুবই আনন্দিত। আমরা আশা করব, মার্কিন সমাজে মুসলিমদের অবদানের স্বীকৃতি আরো বৃদ্ধি পাবে।’
যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় ৭০টি ইসলামী সংস্থার প্রচেষ্টায় গত মার্চে মুসলিম ঐতিহ্যের মাস অনুমোদন দেন নিউ জার্সির সিনেটর জো পেনাচিও। ঘোষণা মতে এই রাজ্যে তিন লাখের বেশি আমেরিকান মুসলিম বসবাস করেন। তাঁদের অনেকে সরকারি ও বেসরকারি দায়িত্ব পালন করেন।
খ্রিস্টান ও ইহুদির পরে ইসলাম যুক্তরাষ্ট্রের তৃতীয় বৃহত্তম ধর্ম। সিএআইআরের তথ্যমতে, ২০২২ সালে আমেরিকায় মুসলিমদের সংখ্যা পাঁচ মিলিয়নে পৌঁছেছে। তবে সেন্টার ফর ইমিগ্রেশন স্টাডিজের পরিসংখ্যান মতে মুসলিমদের সংখ্যা তিন থেকে চার মিলিয়নের মধ্যে রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে মোট জনসংখ্যা ৩৩১ মিলিয়ন; এর মধ্যে মুসলিমদের সংখ্যা ১.১ শতাংশ।