মুমিনের সব কথা যেন কল্যাণময় হয়

২৪ ঘণ্টা যাপিত জীবনে আমরা কী করছি, কী শুনছি? সব কিছু আমাদের রব পরখ করে দেখছেন প্রতি মুহূর্তে। নিজের অজান্তেই আমরা অনেক সময় এমন কথা বলি, যা নিজেদের বিশাল ক্ষতি ডেকে আনে। অথচ আমরা বিষয়গুলোকে মামুলি মনে করে থাকি। বিলাল ইবনুল হারিস আল-মুজানি (রা.) বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে বলতে শুনেছি, তোমাদের মধ্যে কোনো ব্যক্তি কখনো আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টির কথা বলে, যার সম্পর্কে সে ধারণাও করে না যে তা কোথায় গিয়ে পৌঁছবে, অথচ আল্লাহ তাআলা তার এ কথার কারণে তাঁর সঙ্গে মিলিত হওয়ার দিন পর্যন্ত তার জন্য স্বীয় সন্তুষ্টি লিখে দেন। আবার তোমাদের মধ্যে কোনো ব্যক্তি কখনো আল্লাহ তাআলার অসন্তুষ্টির কথা বলে, যার সম্পর্কে সে চিন্তাও করে না যে তা কোন পর্যন্ত গিয়ে পৌঁছবে। অথচ এ কথার কারণে আল্লাহ তাআলা তার সঙ্গে মিলিত হওয়ার দিন পর্যন্ত তার জন্য অসন্তুষ্টি লিখে দেন। (জামে তিরমিজি, হাদিস : ২৩১৯)

আমরা যদি নিজের জীবনে এই প্রতিজ্ঞা করে নিই যে আমি কখনো অকল্যাণকর কথা বলব না এবং তা শুনব না। সর্বোপরি নিজে এ থেকে বেঁচে থাকার চেষ্টা করব। আর আমি যদি এভাবে সংকল্প করতে পারি, তাহলে আল্লাহ তাআলা আমাকে বাস্তবায়ন করার তাওফিক দান করবেন। আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি আল্লাহ ও আখিরাতের দিনে বিশ্বাস রাখে, সে যেন তার মেহমানকে সম্মান করে। যে আল্লাহ ও শেষ দিনে বিশ্বাস রাখে, সে যেন তার প্রতিবেশীকে জ্বালাতন না করে। যে লোক আল্লাহ ও শেষ দিনে বিশ্বাস রাখে, সে যেন ভালো কথা বলে অথবা চুপ থাকে। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৬০১৮)

এ জন্য একজন মুমিনের কর্তব্য হচ্ছে, অপ্রয়োজনীয় কথা থেকে নিজের মুখে লাগাম পরিয়ে নেওয়া। আমার মধ্যে যদি এ ধরনের বদ-অভ্যাস থাকে এই অভ্যাসকে পরিবর্তন করে নিজের জিহ্বাকে জিকিরে অভ্যস্ত করে নেওয়া। ইবনে ওমর (রা.) থেকে বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, আল্লাহ তাআলার জিকির ছাড়া বেশি কথা বোলো না। কেননা আল্লাহ তাআলার জিকির ছাড়া বেশি কথা বললে অন্তর কঠিন হয়ে যায়। আর নিঃসন্দেহে কঠিন অন্তরের লোক আল্লাহ তাআলা থেকে সবচেয়ে বেশি দূরে থাকে। (জামে তিরমিজি, হাদিস : ২৪১১)

আল্লাহ তাআলা আমাদের যাবতীয় অকল্যাণকর কথা থেকে বেঁচে থাকার তাওফিক দান করুন।

Leave a Comment