হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত এক হাদিসে হজরত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে বেশি চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে, সে যেন বলে-
উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্নি আবদুকা, ওয়াবনু আবদিকা, ওয়াবনু আমাতিকা, ওয়াফি কাবজাতিকা, না-সিয়াতি বি-ইয়াদিকা, মাজিন ফি হুকমুকা, আদলুন ফি কাজায়ুকা, আসআলুকা বিকুল্লি ইসমিন হুয়া লাকা সাম্মাইতা বিহি নাফসাকা, আও আনজালতাহু ফি কিতাবিকা, আও আল্লামতাহু আহাদাম মিন খালক্বিকা, আও আলহামতা ইবা-দাকা, আ-উইসতা’ছারতা বিহি ফি মাকনুনিল গাইবি ইনদাক, আন্ তাজআলাল কোরআনা রবিয়া কালবি, ওয়া জালাআলা হাম্মি ওয়া গাম্মি।’
অর্থ : হে আল্লাহ! আমি তোমার বান্দা, তোমার বান্দার পুত্র, তোমার দাসির পুত্র। আমি তোমার হাতের মুঠে, আমার অদৃষ্ট তোমার হাতে। তোমার হুকুম আমার ওপর কার্যকর, তোমার আদেশ আমার পক্ষে ন্যায়। আমি তোমার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি তোমার সেসব নামের অসিলায় যাতে তুমি নিজেকে অভিহিত করেছ, অথবা তুমি তোমার কিতাবে নাজিল করেছ অথবা তুমি তোমার সৃষ্টির কাউকেও তা শিক্ষা দিয়েছ, অথবা তুমি তোমার বান্দাদের ওপর ইলহাম করেছ (অদৃশ্য অবস্থায় থেকে অন্তরে কথা বসিয়ে দেওয়া) অথবা তুমি গায়েবের পর্দায় তা তোমার কাছে অদৃশ্য রেখেছ তুমি কোরআনকে আমার অন্তরের বসন্তকালস্বরূপ চিন্তা-ফিকির দূর করার উপায়স্বরূপ গঠন করো।’
যে বান্দা যখনই তা পড়বে আল্লাহ তার চিন্তা-ভাবনা দূর করে দেবেন এবং তার পরিবর্তে মনে নিশ্চিন্ততা (প্রশান্তি) দান করবেন। সহিহ্ আত তারগিব : ১৮২২
ইসলামি স্কলারদের মতে, কোনো ব্যক্তি যদি কোনো দুশ্চিন্তা, দুঃখ-বেদনা ও উৎকণ্ঠায় এ দোয়াগুলো বলে, তাহলে আল্লাহতায়ালা তার দুশ্চিন্তা ও উৎকণ্ঠা দূর করবেন এবং তার বেদনাকে আনন্দে পরিণত করবেন।
কোনো বর্ণনায় বলা হয়েছে, উপস্থিত সাহাবিরা এ দোয়া শেখা ও মুখস্থ করার আগ্রহ দেখালে, নবী কারিম (সা.) তাদের বলেন, হ্যাঁ, অবশ্যই এ দোয়া শেখা ও মুখস্থ করা দরকার।
উল্লেখ্য, নারীরা দোয়ার শুরুতে বলবেন, ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আমাতুকা, ওয়া বিনতু আবদিকা ওয়া বিনতু আমাতিকা অর্থাৎ হে আল্লাহ! আমি আপনার বান্দী, আপনার (একজন) বান্দার কন্যা, আপনার এক বান্দীর কন্যা