নেশা ছাড়লে তো আগেই ছাড়তাম: নোবেল

কুড়িগ্রামে গান গাইতে গিয়ে মঞ্চে অসংলগ্ন আচরণের ঘটনার পরে নোবেলের সঙ্গে যোগাযোগ করেন তাঁর স্ত্রী সালসাবিল মাহিমুদ। এই গায়ককে মাদক ছেড়ে দেয়া এবং চিকিৎসা নেয়ার পরামর্শ দেন সালসাবিল। তবে নোবেল জানায় সে কখনো মাদক ছাড়বে না এবং বলে, “নেশা ছাড়লে তো আগেই ছাড়তাম লল”।

এমন উত্তরের পরেই সালসাবিল এবং তাঁর পারিবারিক সিদ্ধান্তে ডিভোর্স রেজিষ্ট্রেশন সম্পন্ন করেন বলে এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে জানান।

নোবেলের প্রাক্তন স্ত্রী তাকে শুভ কামনা জানিয়ে লিখেন, আমার প্রাক্তনকে আমি শুভকামনা জানাই । নোবেল কখনোই এতো অসুস্থ ছিলো না । এমন না যে নোবেলের আজকের এই অবস্থার জন্য ও শুধু একা দায়ী ।

তাঁর মাদকদ্রব্য প্রাপ্তি ও আসক্তির ক্ষেত্রে অনেক ক্ষমতাশালী মানুষদের অবদান আছে এবং প্রয়োজনে তাদের নাম উল্লেখ করবেন উল্লেখ করে সালসাবিল লিখেন, অবশ্যই সে নিজেই সবচেয়ে বেশি দায়ী কিন্তু তার মাদকদ্রব্য প্রাপ্তি ও আসক্তির ক্ষেত্রে অনেক ক্ষমতাশালী মানুষদের অবদান আছে সরকারি প্রশাসনিক উর্ধতন কর্মকর্তা, রাজনীতিবিদ, ক্ষমতাশালী ব্যাবসায়ী; (দরকার হলে নাম বলব)। যাদের আগের ক্রিমিনাল রেকর্ড আপনারা নিউজে দেখেছেন অথবা এখনো দেখেননি, কিন্তু নোবেলের আশে পাশে তাদের অবশ্যই দেখেছেন এবং দেখে থাকবেন । (তাদের মধ্যে কিছু শো অরগানাইজারও) বাংলাদেশের মাদকদ্রব্য ব্যাবসায় তারা সচল এবং কিছু এয়ার হোস্টেসদের (একজন এয়ারহোস্টেস যে অন্য এয়ারহোস্টেসদের পরিচালনা করে এবং ডিস্ট্রিবিউশন সুবিধার্থে পরিচিত মুখ/ভিক্টিম খুঁজে বের করে) মাধ্যমে এবং অন্যান্য পন্থায় তারা দেশে মাদক আমদানি করে এবং গোপনভাবে ডিস্ট্রিবিউশন করে যার একজন ভিক্টিম নোবেল নিজেই , আসলে শুধু ভিক্টিম বললে ভুল হবে এখন জড়িত।

মাদক সিন্ডিকেটের কথা উল্লেখ করে সালসাবিল বলেন, মিডিয়ার বিষয় তাই শুধু সামনে এসেছে কিন্তু এসব/এক ক্ষমতাধারী সিন্ডিকেটের ব্যাবসার মুনাফাই আসে বিভিন্ন পরিবারের সন্তানদের ও যুবসমাজকে মাদকাসক্ত করিয়ে।

Leave a Comment