আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আজকের নির্বাচন কমিশন স্বাধীন ও নিরপেক্ষ। এই কমিশনের অধীনে নির্বাচন করতে বিএনপির সমস্যা কোথায়? নির্বাচন করার জন্য এই নির্বাচন কমিশনই যথেষ্ট। নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে সর্বাত্মক চেষ্টা তাদের মধ্য আছে।
রোববার (৭ মে) দুপুরে রাজধানীর বনানীস্থ সেতু ভবনে সেতু কর্তৃপক্ষের বোর্ড সভা শেষে সাংবাদিকদের ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
এসময় ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে বিদেশি কোন চাপ নেই। ইউরোপীয় ইউনিয়ন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কিংবা যুক্তরাজ্য কোন বিদেশি বন্ধু রাষ্ট্র কোন চাপ দেয়নি। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের অবতারণা করেনি।’
নির্বাচনে জেতার গ্যারান্টি দিবে বিএনপি এমন তত্ত্বাবধায়ক সরকার চায় জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকারের চরিত্র ও বৈশিষ্ট্য হারানো এমন পক্ষপাতদুষ্ট তত্ত্বাবধায়ক আওয়ামী লীগ চায় না। যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ২০০১ ও ২০০৬ সালের মতো পক্ষপাতমূলক আচরণ করেছিল। তত্ত্বাবধায়ক নামক মৃত ইস্যুকে জীবিত করতে চাই না।
তিনি বলেন, অস্বাভাবিক তত্ত্বাবধায়ক সরকার ৩ মাসের কথা বলে দুই বছর ক্ষমতায় ছিল। এই তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমাদের কাম্য ছিল না। জনগণ তা চায়নি। তখন আমাদের দলের নেতাকর্মীদের বাছাই করে তাদের ওপর হামলা করেছিল।
কাদের বলেন, দেশে সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে। আমাদের যে সরকার রয়েছে তারা সে সময় রুটিন ওয়ার্ক করবে। তবে মেজর ডিসিশন নিতে পারবে না। নির্বাচনে যেসব মন্ত্রণালয়-দপ্তর সংশ্লিষ্ট রয়েছে সেসব নির্বাচন কমিশনের অধীনে থাকবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, স্বাধীন ও নিরপেক্ষ সংস্থা করতে নির্বাচন কমিশনের জন্যে আইন পাস করেছে সরকার। শেখ হাসিনা সরকারের আমলে নির্বাচন কমিশন অনেক স্বাধীন।