বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বেশিরভাগ রাজনৈতিক দল আমরা আজকে একমত হয়েছি, কোনমতেই এই সরকারের অধিনে কোন নির্বাচনে আমরা অংশগ্রহণ করবো না। আমরা নির্বাচন চাই। আমরা চাই একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন।
রবিবার (০৭ মে) দুপুরে ঠাকুরগাঁও মির্জা রুহুল আমিন মিলনায়তনে বিএনপির ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা শাখার সম্মেলনের ২য় অধিবেশনে এসব কথা বলেন তিনি।
ফখরুল বলেন, এই সরকার তাদের অন্যায় সম্পর্কে কেউ কিছু বললেই মামলা দিয়ে কণ্ঠ রোধ করতে চায়। কিন্তু গণতন্ত্রের নিয়ম হচ্ছে সরকারের খারাপ কাজ নিয়ে সমালোচনা করতে হবে। কিন্তু এই সরকার সেটা করতে দিতে চায় না। জাতিসংঘ বলছে, সারাদেশের মানুষ এক হয়ে বলছে ডিজিটাল আইন বাতিল করতে হবে। তখন আইনমন্ত্রী বলছে এই আইন বাতিল করা যাবে না।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, এই সরকার পরিকল্পিতভাবে রাষ্ট্রের বিচার বিভাগ থেকে শুরু করে মিডিয়া, আইনশৃংখলা বাহিনী সবগুলোকে দলীয়করণ করে ফেলেছে। আজকে দেশে একটা ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করেছে। এখন সাংবাদিকরাও কিছু লিখতে পারে না। তাদেরকেও ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে মামলা দেওয়া হচ্ছে।
আওয়ামী লীগ ক্ষমতাকে টিকিয়ে রাখার জন্য বিভিন্ন আইন তৈরি করেছে অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল বলেন, এই সরকারের বিপক্ষে যেন কেউ কথা বলতে না পারে সেজন্য তারা আইন, মামলা দিয়ে সকলকে ভয় দেখায়। এই সরকার দেশের মানুষের কল্যানের কথা চিন্তাও করে না। তারা প্রতি পদে পদে দেশকে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি ভাগ করে। এই সরকার জনগণের সরকার নয়। এটা আওয়ামী লীগের সরকার। আজকে আওয়ামী লীগের লোকজন বলে আমরা তো এমন সরকার চাই নাই।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির সভাপতি তৈমুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সাল আমিন, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক তারিক আদনান, যুব দলের সভাপতি আবুনুর চৌধুরী ও অন্য নেতৃবৃন্দ।