গ্রীষ্মকালীন ফল কালোজাম। কালচে বেগুনি রঙের এই ফলটি খেতে যেমন সুস্বাদু, তেমনি পুষ্টিগুণেও ভরা। ছোটদেরও এই ফল বেশ পছন্দের। যেকোনো বেরি জাতীয় ফলই খুব উপকারী। আর তার মধ্যে একটি হলো কালোজাম বা ব্ল্যাকবেরি। এটি ত্বক ও চুলের সঙ্গে স্বাস্থ্যের জন্যও বেশ উপকারী।
* জামে ভিটামিন ‘এ’ আর ‘সি’ আছে। এ ছাড়াও এতে থাকে বিভিন্ন মিনারেল, যা আমাদের চোখ এবং ত্বকের জন্য খুব উপকারী।
* জামে থাকা প্রচুর পরিমাণে পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম ও লৌহ হাড়ের শক্তি বৃদ্ধির জন্য চমৎকারভাবে কাজ করে। তাই হাড় ক্ষয়ে যাওয়া রোগীদের এবং বয়স্ক মানুষদের খাবার তালিকায় এই সুস্বাদু ফলটি রাখা উচিত।
* যাদের ডায়াবেটিসের সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য জাম খুব ভালো। এতে অ্যান্টি ডায়াবেটিক প্রপার্টি আছে যা রক্তে চিনির মাত্রা কমায়।
* জাম ফলে থাকা আয়রন অ্যানিমিয়া এবং জন্ডিসকে নিরাময় করে এবং বিভিন্ন ধরনের আয়রনঘটিত সমস্যাগুলোর জন্য যারা ভুগছেন তাদের জন্য জাম খুবই ভালো।
* দাঁত এবং মাড়ি ভালো রাখতে সাহায্য করে কালোজাম। এ ছাড়াও মুখের দুর্গন্ধ দূরে রাখতেও সাহায্য করে।
* জাম মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়ায়। সেই সঙ্গে রক্তশূন্যতা ও অ্যাজমা সমস্যা প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে। বর্ষায় বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ কমাতে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কালোজামের তুলনা নেই।
* কালোজাম ক্যানসার প্রতিরোধে ভীষণভাবে সাহায্য করে। এতে থাকা প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরকে ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করে। কালোজাম শরীরে ক্যানসার ছড়িয়ে পড়তে দেয় না। এ ছাড়া এটি প্রস্টেট ক্যানসার সারিয়ে তুলতে বিশেষভাবে সাহায্য করে।
* ত্বকের যত্নে জাম গুরুত্বপূর্ণ। জাম রক্ত পরিষ্কার রাখে। তার ফলে ত্বক ভালো থাকে। এবং ত্বকের নানান সমস্যা থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়। এবং ওজন কমাতেও কিন্তু কালোজাম সাহায্য করে।
* কালোজাম সর্দি-কাশি কমাতে সাহায্য করে। যদি খুব সর্দি-কাশিতে ভোগেন তাহলে রোজ কালোজাম খান। এতে থাকা ভিটামিন এ, সি, বি-৬ শরীরের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।