আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ছয়টা ২০ মিনিটের দিকে বাংলার আকাশে দেখা মিলেছে অদ্ভূক এক আলোর। হঠাৎ দেখা এই আলো দিয়ে নানা রকমের গুঞ্জন তৈরি হয়েছে বাংলার মানুষের মুখে। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে এই অদ্ভূত আলোর দেখা পাওয়া গেছে।তবে ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রনালয়ের দাবি, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পরীক্ষা করা হয়েছে অগ্নি-৫ ক্ষেপণা’স্ত্রের। ওই উৎক্ষেপণ সফল হয়েছে। এই খবর জানা গিয়েছে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম সূত্রে। যদিও ক্ষে’পণা’স্ত্র পরীক্ষা নিয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে এখনও কিছু জানানো হয়নি ডিআরডিও-র পক্ষ থেকে। খবর আনন্দ বাজার।
ডিআরডিও-র নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি ক্ষেপণা’স্ত্র অ’গ্নি-৫। তা পারমাণবিক অ’স্ত্র বহনে সক্ষম। ৫ হাজার কিলোমিটার পর্যন্ত পাল্লা ওই ক্ষেপণা’স্ত্রের। এর মধ্যে নিখুঁত ভাবে লক্ষ্যবস্তুতে আ’ঘাত হানতে সক্ষম অ’গ্নি-৫। সম্প্রতি অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াংয়ে সম্মুখ সং”ঘাতে জড়িয়ে পড়েছিল ভারত এবং চিনের সেনা। তার মধ্যে ভারতের অ’গ্নি-৫-এর মতো ক্ষে’পণাস্ত্রে’র পরীক্ষা তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
আজ সন্ধ্যায় বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা ও ভারতের কলকাতার আকাশে আচমকা দেখা যায় অদ্ভুত আলো। আর তা ঘিরেই ঘনায় রহস্য। ওই আলো ঘিরে সাধারণ মানুষের মনে তৈরি হয় কৌতূহল। এ নিয়ে জল্পনার মধ্যেই সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে জানা যায়, ওড়িশার চাঁদিপুর থেকে ওই ক্ষেপণা’স্ত্রের উৎক্ষেপণ ঘটানো হয়েছে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায়। চাঁদিপুর থেকে বাঁকুড়া কাছাকাছি হওয়ায় সন্ধ্যার আকাশে সেই আলো অনেকটা স্পষ্ট ভাবে দেখা গিয়েছে।
ঘটনাচক্রে এই ধরনের ক্ষে”পণা’স্ত্র এই প্রথম রাতে পরীক্ষা করা হল। ডিআরডিও সূত্রে জানা গিয়েছে, শুধু অ’গ্নি-৫ ন’য়, অ’গ্নি’-৬ এর মতো আরও দূরপাল্লার ক্ষে’পণা’স্ত্র তৈরির প্রক্রিয়া চলছে। যার পাল্লা হতে পারে ৮ হাজার থেকে ১০ হাজার কিলোমিটার পর্যন্ত।