সদ্য বিদায়ী ডিসেম্বর মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ১৬৯ কোটি ৯৬ লাখ ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১০৭ টাকা হিসেবে) প্রায় ১৮ হাজার ১৯০ কোটি টাকা।বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ডিসেম্বর মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ১৬৯ কোটি ৯৬ লাখ ডলার বা ১৮ হাজর ১৯০ কোটি টাকা। আগের মাস নভেম্বরের চেয়ে প্রায় ১০ কোটি ডলার বা এক হাজার ৭০ কোটি টাকা বেশি। অন্যদিকে গত অর্থবছরের একই মাসের (ডিসেম্বর) তুলনায় ৭ কোটি ডলার বেশি। গত অর্থবছরের ডিসেম্বর মাসে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৬৩ কোটি ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সবশেষ হিসাব বলছে, ২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশের বৈদেশিক মুদ্রার মজুত (রিজার্ভ) কমে দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৩৮৩ কোটি ৮৯ লাখ ডলার। এক বছর আগে একই দিনে যার পরিমাণ ছিল ৪ হাজার ৫৮০ কোটি ২২ লাখ ডলার। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে দেশের রিজার্ভ কমেছে এক হাজার ১৯৬ কোটি ৩৩ লাখ ডলার। আর এক মাসের ব্যবধানে কমেছে প্রায় দুই বিলিয়ন (১ দশমিক ৯৬) ডলার।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) মানদণ্ড অনুযায়ী রিজার্ভ গণনা করলে বর্তমান রিজার্ভ থেকে আরও ৮ দশমিক ৪০ বিলিয়ন ডলার বাদ যাবে, এতে ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভ দাঁড়াবে ২৫ দশমিক ৪৪ বিলিয়ন ডলার।
রিজার্ভ কমা নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক সাংবাদিকদের বলেন, আমরা মনে করি বৈশ্বিক মন্দার প্রভাব আমাদের এখানে এসেছে। অনেক লোক নতুন করে দেশের বাইরে গেছেন। তারা যখন বৈধ চ্যানেলে টাকা পাঠাবেন তখন রেমিট্যান্স বাড়বে। সামনে রপ্তানির একটা চ্যালেঞ্জ আছে। সব মিলে হুন্ডিকে প্রতিহত করা গেলে রিজার্ভ ইতিবাচক ধারায় ফিরবে।