দেশের অন্যতম আলোচিত সমালোচিত অভিনেত্রী পরীমনি। ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই হিট সিনেমা দিতে না পারলেও আলোচনার জন্ম দিতেই বেশি ভালোবাসেন তিনি। তবে এবারের সংসার জীবন শুরু করার পর অনেকেই ভেবেছিলেন, এবার হয়তো আলোচিত-সমালোচিত এই নায়িকার জীবনে একটু স্থিতি আসবে; কিন্তু বছর পেরোতে না পেরোতেই সংসারে উঠেছে ঝড়। আর সেই ঝড়ই এখন বইছে শোবিজে। নতুন বছরের প্রথম দিন থেকেই আলোচনার নাম পরী-রাজের সংসার; কিন্তু আজ বিচ্ছেদ তো কাল মিলন। এভাবেই কাটছে গত কয়েকদিন।
তবে আই আলোচনার শুরু থেকেই খুব কমই কথা বলেছেন রাজ। পরী বিচ্ছেদের ইঙ্গিত দিলেও রাজ জানিয়েছেন তার পক্ষ থেকে বিচ্ছেদের চিন্তা নেই। পরী যদি বিচ্ছেদের চিন্তা করে থাকেন, তাহলে এ ব্যাপারে রাজের কিছুই করার নেই। এই অভিনেতা বলেন, সংসারে ঝগড়াঝাঁটি, হাতাহাতি হয়। প্রতিটি সংসারে কিছু না কিছু ঝামেলা থাকে, আবার মিটেও যায়। কিন্তু বাড়ির খবর, ঘরের খবর এভাবে দেশবাসীকে জানিয়ে কোনো সমাধান কি হয়? নিজেরাই সমাধান করতে হয়। আমার পক্ষ থেকে বিচ্ছেদের কোনো বিষয় নাই। কিন্তু পরী যদি চায়, তাহলে তো কিছু করার নাই। বিচ্ছেদ হয়ে যাবে আমাদের। তবে সম্পর্ক টিকে থাকার চেষ্টা করব আমি।
এছাড়া প্রথমে পরী ও রাজের বক্তব্য শুনে অনেকটা স্পষ্ট- ‘বিচ্ছেদ’-এর পথেই হাটছেন তারা। আসলেই কি তাই? সাধারণ মানুষ হিসেবে সবাই ধরে নিয়েছে রাজ-পরীর সংসার ভেঙে গেছে। তারা এখন দুই মেরুর বাসিন্দা।পুরো বিষয়টা কিন্তু তা নয়। রাজ বলেন, বিচ্ছেদের চিঠি দিলে নব্বই দিন সময় থাকে। সেই নব্বই দিনের মধ্যে কিছুদিন ধরে চেষ্টা করব ঠিকঠাক করার। যদি একান্তই না হয়, তাহলে যা হওয়ার তা-ই হবে। তবে আমি এখানে একটা কথা বলতে চাই, হয়তো আমাদের দুজনেরই দোষত্রুটি আছে।
এক হাতে তো তালি বাজে না। পরী যে রক্ত মাখা বিছানার ছবি দিয়েছে, তাকে জিজ্ঞাসা করেন, কার রক্তের ছবি ওটি। কিন্তু আপনি তার গায়ে হাত তোলেন, সেটা তো সে স্ট্যাটাসে বলেছেন। এ ব্যাপারে কী বলবেন? রাজ বলেন, কেউই ধোয়া তুলসি পাতা নয়, সহ্যের একটা সীমা আছে। দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে মানুষ সামনে আগাতে চায়। এতটুকুই বললাম, আপনারা এখন বুঝে নেন।