শীত উপেক্ষা করে ছুটির দিনে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলায় ছিল ক্রেতা ও দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভিড়। এতে খুশি মেলা সংশ্লিষ্টরা। তবে বরাররের মতো অতিরিক্ত দাম হাঁকানো নিয়ে রয়েছে ক্রেতাদের অভিযোগ। এবার মেলায় খাগড়াছড়ির গুইমারার আলোচিত ১৬ পরীর কোটি টাকা দাম হাঁকানো খাট আর ময়মনসিংহের রাজা চায়ের স্টল উৎসুক দর্শনার্থীদের আগ্রহের স্থান
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, পূর্বাচলের স্থায়ী প্যাভিলিয়ন বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ চায়না সেন্টারে ২৭তম আসর জমে ওঠতে শুরু করেছে। মেলায় স্টল বৃদ্ধি, রাজধানী থেকে ৩শ’ ফুট সড়কে সহজ চলাচলে শীতের প্রকোপ ভেঙে এমন নজির দাবি মেলা সংশ্লিষ্টদের। এছাড়াও শীতজনিত কিংবা আকস্মিক অসুস্থ হলে রাখা হয়েছে মেডিকেল টীম। তবে মেলা জমলেও পণ্য মূল্যের অতিরিক্ত দাম নিয়ে হতাশ ক্রেতা সাধারণ। যদিও মেলার এমন আয়োজনে খুশি স্থানীয় বাসিন্দারাও।
মেলার আসা বিআরবি হাসপাতালের দায়িত্বরত ডাক্তার ফাতেমা ফায়েজ বলেন, এবার মেলায় কয়েকজন শ্রমিক কাজ করতে গিয়ে আহত হলে তাকে আমরা চিকিৎসা দিয়েছি। পাশাপাশি কয়েকজন বৃদ্ধ অসুস্থ হলে আমাদের অ্যাম্বুলেন্স দিয়ে হাসপাতালে পাঠিয়েছি।
প্রবেশদ্বার ইজারা কর্তৃপক্ষ ইমন হাসান খোকন বলেন, মেলার প্রবেশদ্বারে বঙ্গবন্ধু গ্যালারীর মাধ্যমে আগত দর্শনার্থীরা দেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানতে পারছে। পাশাপাশি রূপগঞ্জের মানুষ এখানে ব্যবসা, চাকরি, আবাসন ও পরিবহন সুবিধা পাচ্ছেন। তাই বাণিজ্য মেলা স্থানীয় অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
মেলায় ঘুরতে আসা স্বেচ্ছাসেবকলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি আব্দুল আলীম বলেন, দেশের মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু পরিবার সম্পর্কে জানতে মেলার প্রবেশ দ্বারে করা বঙ্গবন্ধু গ্যালারীর সব চিত্র দূর্লভ। মেলায় আগত শিক্ষার্থী মধুখালীর তানভীর হাসান মোল্লা বলেন, মেলায় শিশুদের জন্য বেসরকারি নানা ধরনের রাইডে টিকেট কেটে শিশুদের খেলতে দেখলাম। এটা ভালো উদ্যোগ।
গতবার নেচে গেয়ে আইসক্রিম বিক্রি আলোচনায় থাকলেও এবার উৎসুক জনতার আকর্ষণের স্থান দখল করে নিয়েছে ময়মনসিংহের ‘রাজা চা’ আর খাগড়াছড়ির গুইমারার নুর নবীর ১৬ পরীর কোটি টাকার খাট। অভিযোগ রয়েছে মেলার বাইরে হকারদের উৎপাত আর ধূলোবালিসহ নানা অব্যবস্থাপনার। যদিও মেলাকে প্রাণবন্ত করতে নানা পদক্ষেপ নেয়ার কথা জানিয়েছেন মেলার পরিচালক ও রপ্তানী উন্নয়ন ব্যুরোর সচিব ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী।
তবে মেলায় আসা দর্শনার্থী আব্দুর রউফ মালুম বলেন, মেলা উদ্বোধনের পরও তেমন জমছিলো না। ফলে ব্যবসায়ীরা অপেক্ষায় ছিলেন সরকারী ছুটির দিনের। আর গত ৭দিনের লোকসান কাটাতে গত দুই দিনেই দর্শনার্থী হয়েছে কাঙ্খিত।