বাংলাদেশি তিন তরুণের আর্ট প্ল্যাটফর্ম ‘মার্ক ড্রয়িং’ কোম্পানি

দেশে বসেই যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও কানাডার গ্রাহকদের ছবি একে দিচ্ছে তিন তরুণের গড়ে তোলা অনলাইন প্লাটফর্ম মার্ক ড্রয়িং কোম্পানি। এতে করে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা দেশে নিয়ে আসছে কোম্পানিটি। যা দেশের রেমিট্যান্সের গতি বাড়াতে সহযোগিতা করছে।

মার্ক ড্রয়িং কোম্পানির সফল তিন প্রতিষ্ঠাতা হলেন— রফিকুল হাসান, আমির হামজা ও রেজাউল করিম কাজল। তারা তিনজনই একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সিএসই বিভাগে পড়ালেখা করেছেন।

ব্যবসার পরিধি বাড়াতে পরে তারা আরেক বন্ধু মো: মুরাদ হোসেনকে তাদের সাথে সংযুক্ত করেন।

মার্ক ড্রয়িং ডটকম কোম্পানি প্রতিষ্ঠার পর থেকে এখন অবদি যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডার সাড়ে ৭ হাজার গ্রাহকের প্রায় ৩০ হাজার পোট্রেট এঁকে দিয়েছে। এর মাধ্যমে মাসে রেমিট্যান্স আসে প্রায় ১০ লাখ টাকার এর বেশি। এবং নিজেরা স্বাবলম্বী হওয়ার পাশাপাশি অন্য তরুণদেরও কাজের সুযোগ করে দিয়েছেন তারা।

মার্ক ড্রয়িং কোম্পানির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা জনাব আমির হামজা সময়ের কণ্ঠস্বরকে বলেন, যখন আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমবর্ষে ছিলাম তখন অনেকের ছবি একে দিতাম। এই শখকেই আমরা পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছি।

তিনি আরো জানান, এটি একটি আর্টিস্ট ড্রয়িং প্ল্যাটফর্ম যার ওয়েব এড্রেস- মার্কড্রয়িং.কম (www.markdrawing.com)। আমাদের এখানে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও কানাডার গ্রাহকরা নিজেদের পোট্রেট অথবা পরিবারের বিভিন্ন রকমের ছবি দেয়। আমরা সেটিকে হাতে একেঁ দেই। কাজের অর্ডার নেওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যে ছবি একে তা গ্রাহকের কাছে পৌঁছে দেই। এতে করে আমাদের প্রতিষ্ঠানের প্রতি গ্রাহকের আস্থা বাড়ছে। আর আমরা দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধিতে অবদান রাখতে পারছি।

প্রসঙ্গত, মার্ক ড্রয়িং কোম্পানি মূলত গ্রাহকের পছন্দ অনুযায়ী পোট্রেট ছবি এঁকে দেয়। ছবির ধরণগুলো হলো সাদা-কালো, পেন্সিল পোট্রেট, কালার পেন্সিল পোট্রেট, পুরনো বা নষ্ট ছবি থেকে পোট্রেট করা। এর মধ্যে পারিবারিক পোট্রেটের অর্ডার বেশি থাকে।

Leave a Comment